শিক্ষা জীবনে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু ব্যবসার সুযোগ অনেক সম্ভাবনাময় হতে পারে। এখানে পাঁচটি ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে যা শিক্ষার্থীরা প্রায় কম বিনিয়োগেই শুরু করতে পারে এবং পড়াশোনার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে পরিচালনা করতে পারে।
১. অনলাইন টিউশন বা কোচিং
বর্তমানে অনলাইন শিক্ষার চাহিদা অনেক বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব একাডেমিক দক্ষতাকে ব্যবহার করে অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন সেবা দিতে পারে। এটি সুবিধাজনক, কারণ এটি ঘরে বসেই করা যায় এবং নিজস্ব শিডিউল অনুযায়ী পরিচালনা করা যায়।
২. ফ্রিল্যান্স কাজ
ডিজিটাল দক্ষতা বা সৃজনশীলতার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এবং অনুবাদ সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ পাওয়া যায়। এতে কাজের সময় নিজের পছন্দ অনুযায়ী নির্ধারণ করা সম্ভব।
৩. সামাজিক মাধ্যম ম্যানেজমেন্ট
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা ছোট উদ্যোক্তারা তাদের ব্র্যান্ড প্রোমোশন বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য সামাজিক মাধ্যম ম্যানেজমেন্টের সেবা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা এই ধরনের সেবা প্রদান করে সহজেই আয় করতে পারে।
৪. ব্লগিং বা ভ্লগিং
নিজের আগ্রহের কোনো বিষয় নিয়ে ব্লগ লেখা বা ভিডিও তৈরি করা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য আয়ের উৎস হতে পারে। এটি করতে প্রথমে সামান্য বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়, তবে একবার এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করা যায়।
৫. ই-কমার্স ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং একটি এমন ব্যবসার মডেল যেখানে ব্যবসায়ী নিজে পণ্য না রেখে সরাসরি সরবরাহকারীর মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য প্রেরণ করেন। এতে বিনিয়োগ ছাড়াই ই-কমার্স ব্যবসা করা যায় এবং শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারে।
শিক্ষার্থী অবস্থায় ছোট পরিসরে এই ব্যবসাগুলির মধ্যে যে কোনো একটি শুরু করে পর্যায়ক্রমে নিজের দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। একই সঙ্গে পড়াশোনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা এবং সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়া যায়।